দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল অঙ্গনে বাংলাদেশের উত্থান এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দলে প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের অন্তর্ভুক্তি এবং তাদের অসাধারণ পারফরম্যান্সের কারণে বাংলাদেশ ফুটবল দল এখন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
বাংলাদেশ ফুটবল দলের মার্কেট ভ্যালু
বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের মার্কেট ভ্যালু ৯.২০ মিলিয়ন ডলার, যা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দলগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ। এই মার্কেট ভ্যালু বৃদ্ধির প্রধান কারণ হলো জাতীয় দলে বেশ কয়েকজন প্রতিভাবান খেলোয়াড়ের যোগদান, যাদের মধ্যে অন্যতম হলেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী। হামজা দেওয়ান চৌধুরীর মতো খেলোয়াড়দের অন্তর্ভুক্তি দলের শক্তি এবং কৌশলগত গভীরতা বৃদ্ধি করেছে।
হামজা দেওয়ান চৌধুরী, যিনি একজন ব্রিটিশ-বাংলাদেশী ফুটবলার, তার আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা এবং উচ্চ দক্ষতা দিয়ে দলকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। তার যোগদান শুধু দলের মার্কেট ভ্যালুই বাড়ায়নি, বরং দলের মনোবল এবং খেলার মানেও ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে।
হামজা দেওয়ান চৌধুরী বাদেও আরো বিদেশি ফুটবলার
এছাড়াও, বাংলাদেশ জাতীয় দলে আরও কয়েকজন বিদেশী বংশোদ্ভূত খেলোয়াড় যোগদান করেছেন, যারা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক লীগে খেলার অভিজ্ঞতা রাখেন। তাদের অভিজ্ঞতা এবং দক্ষতা জাতীয় দলকে আরও শক্তিশালী করেছে।
বাংলাদেশ দলের মার্কেট ভ্যালু ভারতের দ্বিগুণ
দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দলগুলোর মধ্যে ভারতের মার্কেট ভ্যালু ৫.৮৮ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশের চেয়ে অনেক কম। এর কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা মনে করেন, বাংলাদেশ জাতীয় দলে আন্তর্জাতিক মানের খেলোয়াড়দের অন্তর্ভুক্তি এবং তাদের ধারাবাহিক ভালো পারফরম্যান্স দলটিকে এগিয়ে নিয়ে গেছে।
বাংলাদেশ ফুটবল দলকে এগিয়ে নিচ্ছে (বাফুফে)
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও (বাফুফে) দলের উন্নতির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে দলটিকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশের এই উন্নতি শুধু দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর কাছেও একটি বার্তা পৌঁছে দিয়েছে যে, সঠিক পরিকল্পনা এবং পরিশ্রমের মাধ্যমে যেকোন দলই আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সাফল্য অর্জন করতে পারে।