আমজাদ হোসেন নওগাঁ
‘নওগাঁ মান্দয় ২ ভালাইন ইউনিয়নের লক্ষীরামপুর গ্রামের ১৩০ বছরের বৃদ্ধের বাবার ১১ সন্তান থাকলেও মিলছে না তার কপালে ভাত কাপড়, এই হৃদয়বিদারক ঘটনার খবর বিভিন্ন পত্র পত্রিকা এবং টেলিভিশনে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও মান্দা উপজেলা সভাপতি এম এম মতীন তার সারা জীবনের ভরণপোষণ এবং একটি পাকা ঘর নির্মাণের দায়িত্ব নিয়েছেন।
আজ রবিবার (৩১ আগস্ট) সাকালে উপজেলার ভালাইন ইউনিয়নের লক্ষীরামপুর গ্রামে গিয়ে বৃদ্ধ মো. তফের আলাীর পাশে দাঁড়ান এম এ মতীন। এ সময় এক আবেগঘন দৃশ্যের অবতরণা হয়।
সংবাদ প্রকাশের আগে মো. তফের আলীর ১১ জন সন্তান থাকলেও অভাব অনটনের কারনে তিনি খুবই দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছিলেন। তার ভাঙা ঘরে পর্যাপ্ত খাবার পানি ও পরিধেয় বস্ত্র তেমন ছিলনা ।
তিনি খাবারের জন্য বিভিন্ন জনের কাছে হাত বাড়ালো পায়না কোন খাবার এই বৃদ্ধ বাবা খাবার সন্ধান করতে গিয়ে এক সময় সাংবাদিকের নজরে আসে, তারপর এই বৃদ্ধ চাচাকে নিয়ে সংবাদ প্রচার হয় একের পর এক, এই সংবাদগুলো বিভিন্ন জায়গায় আলোচনার শীর্ষে উঠে ঠিক সেই সময়, বিএনপি’র কেন্দ্র কমিটির সদস্য এম এ মতিন এর দৃষ্টিগোচর হওয়ার পরেই, আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। এ সময় ১৩০ বছরের অসহায় এই বৃদ্ধ বাবা,
সয়ায়তা পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
বৃদ্ধ বাবা মো. তফের আলী বলেন, আমি অনেক দিন থেকেই অসহায়ভাবে জীবনযাপন করছি। বাবা গো, বিএনপির নেতা এম এ মতিনের সাহায্য পেয়ে অনেক ভালো লাগছে। আল্লাহ তাকে বাঁচিয়ে রাখুক। এই বয়সে আর কাজ করতে পারিনা। থাকার ঘরটাও খারাপ অবস্থা। শেষ বয়সে মাথা বোঝার ঠাই করে দিল এই বাবা।
বৃদ্ধ তফের আলীর ছেলের বউ জানান, আমরা নিজেরাও কষ্টের মধ্যে থাকি। তারপরও শ্বশুরকে যতটা সম্ভব সহযোগিতা করি এবং খাবার দিই। তবে এই দুঃসময়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এম এ মতিন আমার শ্বশুরের পাশে দাঁড়িয়েছেন এটি আমাদের জন্য অনেক বড় আশীর্বাদ। শশুরের জন্য ঘরবাড়ি নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য আমরা অনেক খুশি হয়েছি এবং তার কাছে আমরা সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকবো।
স্থানীয় বাসিন্দা মো. আনিসার বলেন, আমাদের গ্রামের অসহায় তফের আলী দীর্ঘদিন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনেকেই সাহায্যের আশ্বাস দিলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। তবে হঠাৎ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা এম এ মতিন তার পাশে দাঁড়ান। তিনি ঘোষণা দেন তফের আলী যতদিন বেঁচে থাকবেন, তার ভরণ-পোষণের দায়িত্ব তিনি নেবেন। পাশাপাশি একটি পাকা ঘরও তৈরি করে দেন। এই মানবিক উদ্যোগের জন্য আমরা এলাকাবাসী হিসেবে তাকে সাধুবাদ জানাই।
তবে এই বিষয়ে, এম এ মতীন কথা বললে তিনি জানান, এই অসহায় বৃদ্ধার দুর্দশা নিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা এবং টেলিভিশনেরএই বৃদ্ধ বাবার প্রচার হওয়ার পর আমার দৃষ্টিগোচর হয় তারপর আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে এই দ্রুত বাবার জন্য একটি ঘর ও যতদিন বাঁচবে তার জন্য খাবারের ব্যবস্থা সহ তার জীবন সকল দায় দায়িত্ব নিয়েছি, এটা আমার একা কোন সিদ্ধান্ত ছিল না। তারেক রহমানের নির্দেশনায় এই বৃদ্ধ বাবার সারা জীবনের ভরণপোষণ এবং তার পাকা ঘরের ব্যবস্থা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, জনাব তারেক রহমান তাই এই বৃদ্ধ বাবার ঘরটি আজকেই মিস্ত্রি লাগিয়ে উদ্বোধন করে দিয়েছে। মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করি এই বৃদ্ধ বাবা যেন ভালো থাকে।
এই মানবিক উদ্যোগের সময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিক এবং বিএনপির অঙ্গ-সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।