মান্দা উপজেলার কাশোঁপারা ইউনিয়নের আন্ধারিয়া পাড়া গ্রামের খুরশেদ আলমের ছেলে পলাশ হোসেন। মাত্র ১৩ বছর বয়সে বয়স্ক দাদা-দাদী ও অসহায় মা এবং তিন বছর বয়সী ছোট ভাই এই পাঁচজনের সংসারে হাল ধরতে স্থানীয় মামুন নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের একটি কারখানায় কাজ করত স্কুল পড়ুয়া কিশোর পলাশ হোসেন।
অল্প বেতনে প্রায় এক বছর ধরে কাজ করে চালিয়ে আসছে সংসার। এরপরও বিধির লিখন যেন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে এই শিশুটির উপর থেকে। গত ২৯ এ আগস্ট শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ার উদ্দেশ্য বের হয়ে যান পলাশ এরপরে আর ফিরে আসেননি কর্মস্থলে।
ঘটনার দিন রাত দশটার দিকে নারায়ণগঞ্জের কারখানা পরিচালক মামুনুর রশিদ পলাশে নিখুঁজের বিষয়টি পরিবারকে বিস্তারিত জানান, তার স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর পলাশকে না পেয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। শিশু নিখোঁজের দশ দিন পেরিয়ে গেলে কোন সন্ধান করতে পারেনি পুলিশ।
সন্তানের খোঁজ না পেয়ে পলাশের মা পপি দাদা-দাদী সহ পুরো এলাকা জুড়ে সুখের ছায়া নেমেছে। তাই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম আদরের ছেলে পলাশ কে দ্রুত উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন তার পরিবার। পরিবার সূত্রে জানা যায় পলাশীর বাবা খোরশেদ আলম সংসারের অভাব দূর করতে টাকা পয়সা ঋণ করে পাড়ি জমিয়েছেন সৌদি আরবে, কিন্তু সেখানে গিয়ে খোরশেদ আলম কর্মের পরিবর্তে ভিসা জটিলতায় দীর্ঘ ১৬ মাস ধরে রয়েছেন সৌদি আরবের কারাগারে বন্দী। এতে হতাশ ও দিশেহারা ঋণের জর্জরিত পরিবার।
তাইতো স্কুল পড়ুয়া একজন ১৩ বছরের শিশু সংসারের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে কাজ করতে গিয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জের একটি কারখানায়। স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি দ্রুত ছেলেটিকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে প্রশাসনের সুদৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেন।