সাকিব আল হাসান বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যার অভিষেক হয় ২০০৬ সালে। ওই বছরই টি-টোয়েন্টি ও ওডিআই ক্রিকেট খেলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এরপর ২০০৭ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয় সাকিবের। তিন ফরম্যাটেই অন্যতম পারফরমেন্সে নিজেকে সেরাদের তালিকায় নিয়ে গেছেন তিনি। ব্যাট হাতে নির্ভরযোগ্যতা এবং বল হাতে কার্যকর ভূমিকার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের এক ভরসার প্রতীক হয়েছেন। নিচে সাকিব আল হাসানের তিন ফরমেটের ক্যারিয়ার তুলে ধরা হয়েছে।
সাকিব আল হাসান যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে খেলবেন কিনা তা এখনো চূড়ান্ত নয়। এই বিষয়ে অফিশিয়ালি কোন কিছু জানা যায়নি। আমেরিকার (যুক্তরাষ্ট্র) হয়ে খেলার বিষয়ে কিছু জানান নি তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় সাকিবকে নিয়ে অনেক ট্রল করা হচ্ছে এটা গুজব ছাড়া আর কিছুই নয়। বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব আর ভিত্তিহীন।
এক নজরে সাকিব আল হাসানের ক্রিকেট ক্যারিয়ার
সাকিবের টেস্ট ক্যারিয়ার (২০০৭ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত)
ব্যাটিং:
- ম্যাচ: ৭১
- রান: ৪৬০৯
- গড়: ৩৭.৮
- স্ট্রাইক রেট: ৬১.৭
বোলিং:
- ম্যাচ: ৭১
- উইকেট: ২৪৬
- ইকোনমি রেট: ২.৯৮
- গড়: ৩১.৭
সাকিবের ওডিআই ক্যারিয়ার (২০০৬ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত)
ব্যাটিং:
- ম্যাচ: ২৪৭
- রান: ৭৫৭০
- গড়: ৩৭.৩
- স্ট্রাইক রেট: ৮২.৮
বোলিং:
- ম্যাচ: ২৪৭
- উইকেট: ৩১৭
- ইকোনমি রেট: ৪.৪৬
- গড়: ২৯.৫
সাকিবের টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার (২০০৬ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত)
ব্যাটিং:
- ম্যাচ: ১২৯
- রান: ২৫৫১
- গড়: ২৩.২
- স্ট্রাইক রেট: ১২১.২
বোলিং:
- ম্যাচ: ১২৯
- উইকেট: ১৪৯
- ইকোনমি রেট: ৬.৮১
- গড়: ২০.৯
সাকিব সেরা তিন ফরমেটেই
টেস্টে বোলার হিসেবে কার্যকর সাথে ব্যাটিং হিসেবে দারুণ ভূমিকা পালন করেন সাকিব। ওডিআই ক্রিকেটে ২০১৯ সালের স্মরণীয় বিশ্বকাপ খেলার তিনি। এছাড়া টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসেবে সফল সাকিব আল হাসান। তিনি শুধু বাংলাদেশেই নয় বিশ্ব ক্রিকেটেও অন্যতম সেরা ক্রিকেটার হিসেবে স্বীকৃত হয়েছেন। অলরাউন্ডার হিসেবে দীর্ঘদিন নাম্বার ওয়ান ছিলেন তিনি। ব্যাটিং বোলিং এবং অধিনায়কত্বের দক্ষতায় তাকে বাংলাদেশ ক্রিকেটে ইতিহাসের শীর্ষস্থানে নিয়ে গেছে।