বাংলাদেশ জাতীয় দলে ২০১৯ সালে অভিষেক হয়েছিল এবাদত হোসেন এর। এরপর থেকে জাতীয় দলের উল্লেখযোগ্য সেরা পারফর্মার তিনি। বাংলাদেশ জাতীয় দলে নিয়মিত বোলিং পারফরম্যান্স প্রদর্শন করেন এবাদত। তবে, তবে এই সাফল্যের অনেক আগেই বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর মিনিস্ট্রি অব ডিফেন্স কনস্টেবুলারি (এমওডিসি) তে একজন সদস্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বিমান বাহিনীতে পদোন্নতি হবে এবাদত হোসেন এর
বিমান বাহিনীতে এক দশকেরও বেশি আগে যোগদান করেছিলেন এবাদত। ক্রিকেটে সুযোগ পাওয়ায়, বিমানবাহিনীতে আর চাকরি করতে পারেননি তিনি। অন্যদিকে, একজন কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হওয়ার মতো শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও এবাদতকে সম্মানিত করা প্রয়োজন। কারণ, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মকে বিমানবাহিনীতে যোগদানের উৎসাহিত করবে।
ভারত পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সশস্ত্র বাহিনীর পদ লাভ
বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত পাকিস্তানের বেশ কিছু ক্রিকেটার বিমান/পুলিশ/সেনা বাহিনীতে সম্মানজনক পদ লাভ করেছে। প্রতিবেশী দেশগুলোর অনেক ক্রিকেটার সশস্ত্র বাহিনীতে সম্মানজনক কমিশন প্রাপ্ত হয়েছেন। দেশের ক্রিকেটে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা এবং বিমানবাহিনীতে যোগদান করে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর ক্রিকেটাররা। বিভিন্ন বাহিনীতে তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করাই যার লক্ষ্য।
কমিশন প্রাপ্ত ভারতীয় ক্রিকেটার: ভারত ক্রিকেট দলের সব সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার টেন্ডুলকার। ২০১০ সালে ভারতীয় বিমান বাহিনী শচীন টেন্ডুলকারকে গ্রুপ ক্যাপ্টেন হিসেবে পদবী দেয়। এরপর, ২০১১ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদের মর্যাদা প্রদান করা হয়।
কমিশন প্রাপ্ত পাকিস্তানি ক্রিকেটার: পাকিস্তানের সেরা অলরাউন্ডারদের মধ্যে একজন শাদাব খান। ২০২৩ সালে পাকিস্তান পুলিশ বাহিনী শাদাব খানকে ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ (ডিএসপি) পদ দেয়। এরপর, পাকিস্তানি ওপেনার ব্যাটার ফখর জামানকে পাকিস্তান নৌবাহিনী লেফটেন্যান্ট পদের মর্যাদা দেওয়া হয়।
দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অবদান রাখার পর তরুণ ক্রিকেটাররা বিভিন্ন বাহিনীতে যোগদান করবে। এ বিষয়ে উৎসাহিত করার জন্য ইবাদত হোসেনকে কমিশন প্রাপ্ত করা দরকার। তাহলে দেশের তরুণ প্রজন্ম এর সাময়িক বাহিনীর প্রতি আগ্রহ বাড়বে বহু গুণ। তরুণদের একইসঙ্গে ক্রিকেট ও সাময়িক বাহিনীর প্রতি আগ্রহ বাড়ানোর জন্য এবাদত হোসেন কে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সম্মানসূচক পদোন্নতি দিয়ে অফিসার করা দরকার।