২০১৯ সালের এক জরিপে উঠে আসে মজাদার কিছু তথ্য। যদিও মাথায় বল লাগলে ক্রিকেটারদের প্রশ্ন করা নিয়ে রয়েছে অনেক মতভেদ। তবে ২০১৯ সালে বিষয়টি নিশ্চিত হয় গণমাধ্যমে। একজন খেলোয়াড়ের মাথায় বল লাগলে মাঠে ফিজিও গিয়ে হাস্যকর কিছু প্রশ্ন করেন। আর প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে পারলে ক্রিকেটারকে খেলার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে কি সেই হাস্যকর প্রশ্নগুলো? আর উত্তরই বা কেমন! এই নিয়ে আজকে থাকছে নতুন প্রতিবেদন।
ব্যাটারের মাথায় বল লাগার পর ফিজিওর প্রশ্ন সমূহ
- তোমার নাম কি?
- স্কোরবোর্ডে কত রান দেখতে পাচ্ছ?
- তুমি আজকে কি খাবার খেয়েছ?
- তোমার মাথা কি ব্যথা করছে?
- এখানে কয়টি আঙ্গুল দেখা যাচ্ছে?
- তুমি কি এখনো খেলা চালিয়ে যেতে চাও?
- তোমার কি চোখে ঝাপসা লাগছে?
- তোমার কি বমি বমি ভাব লাগছে?
- তুমি কি স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে পারছ?
- তুমি কি ঠিকঠাক কথা বলতে পারছ?
প্রশ্নগুলো শুনে হাস্যকর মনে হলেও ফিজিও মাঠে উপস্থিত হয়ে খেলোয়ার কে এইসব প্রশ্ন করেন। প্রশ্নগুলোর ঠিকঠাক উত্তর দিতে পারলে ক্রিকেটার সাধারণত আবার খেলার সুযোগ পায়। অন্যথায় তাকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। এর বাইরেও ব্যাটাদের আরো কিছু পরীক্ষা করা হয়। যেগুলোতে পাশ করলে একজন খেলোয়ার খেলতে পারেন। যে তিনটি পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয় ক্রিকেটার সুস্থ আছে কিনা। চলুন দেখে নেই পরীক্ষা তিনটি।
জ্ঞান পরীক্ষা: এই পরীক্ষার মাধ্যমে ক্রিকেটারের স্মৃতি এবং মনে রাখার সক্ষমতা যাচাই করা হয়। পরীক্ষার মাধ্যমে জানা যায় তার ধারণক্ষমতা ঠিক আছে কিনা।
সচেতনতা পরীক্ষা: এই পরীক্ষার মাধ্যমে সাধারণত ক্রিকেটারের চেতনা এবং মনোযোগের স্তর জানা যায়। এর মাধ্যমে ক্রিকেটার খেলতে পারবেন কিনা তা নিশ্চিত করা যায়। একজন খেলোয়াড় সুস্থ থাকার পর সচেতনতা পরীক্ষা চালানো হয়।
ভারসাম্য পরীক্ষা: সর্বশেষ এবং ফাইনাল পরীক্ষা হিসেবে ক্রিকেটারের ভারসাম্য নিশ্চিত করা হয়। এই পরীক্ষার মাধ্যমে ক্রিকেটারের ভারসাম্য এবং সমন্বয়ের ক্ষমতা যাচাই করা হয়। ভারসাম্য এবং সমন্বয়ের ক্ষমতা থাকলে একজন খেলোয়ার আবারো খেলার সুযোগ পায়।
পরীক্ষাগুলোর মাধ্যমে মাথায় আ*ঘাতের ফলে সৃষ্ট কোনো গুরুতর সমস্যা আছে কিনা, তা খুঁজে বের করা হয়। উপরের প্রশ্নগুলো শোনে হাস্যকর মনে হলেও এখানে নির্ভর করে একটা ক্রিকেটারের জীবন। এখন পর্যন্ত অনেক ব্যাটার বলের আ*ঘাতে মৃ*ত্যুবর*ণ করেছে। তাইতো বিষয়টি হাস্যকর হলেও স্বাভাবিক কিছুই নয়। বেটারদের মাথায় বল লাগলে তাকে এইসব প্রশ্ন করার মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয় সে গুরুতর আঘা*তপ্রাপ্ত কিনা। তাইতো বিষয়টি কোনভাবেই হাস্যকর নয়।